ঢাকা: বিবদমান দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে চূড়ান্ত
কোনো সমঝোতা না হলেও সঙ্কট নিরসন প্রচেষ্টায় উভয়পক্ষে সংলাপের সূচনা করে
দিয়ে যাচ্ছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো।
ছয় দিনের সফর শেষে বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন কথাই বললেন তিনি।
ব্রিফিংএ তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়।’
তার এই সফরে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা,পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন উল্লেখ করে তারানকো বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ সঙ্কট নিরসনে দুই পক্ষ সংলাপে বসেছে। জাতিসংঘ আশা করে, তারা সঙ্কট সমাধানে সংলাপ চালিয়ে নেবেন। বাংলাদেশ নিজের সমস্যা নিজেদের মতো করেই সমাধান করুক।’
চলতি সঙ্কটে বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সঙ্কট বাংলাদেশের অর্জিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে।’
তিনি বলেন, ‘অব্যাহত সহিংসতায় নারী-শিশুসহ নিরপরাধ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, এতে জাতিসংঘ মহাসচিবও উদ্বিগ্ন। আমি সবাইকে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেছি।’
১৯৯৭ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসা সদ্যপ্রয়াত বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার উক্তি, ‘ঐক্যবদ্ধ জাতি যেকোনো কঠিন সমস্যার মোকাবেলা করতে পারে’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে তারানকো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, দুই দল ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে সমাধানের লক্ষ্যে গঠনমূলক সংলাপ চালিয়ে যাবে।’
এসময় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তারানকো বলেন, ‘এদেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘ সব সময় পাশে থাকবে।’
বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ তারানকো বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী।’
গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারানকো অনুরোধ করেন, নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক কাজ চালিয়ে যান।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ছাড়া সমঝোতা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক নেতাদের সহনশীলতা ও ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকে তাহলে সমঝোতা সম্ভব। আমি মনে করি, দুই দলেরই সমঝোতায় পৌঁছানো এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবে। রাজনৈতিক নেতাদের একসাথে বসা উচিৎ। দুই পক্ষই সংলাপ চালিয়ে যাবে বলে আমার আশা।’
সফর এবং বৈঠক সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিবকে অবহিত করবেন জানিয়ে তারানকো বলেন, ‘দুই পক্ষই এখন সংলাপের মধ্যে রয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশকে খুব ভালো বন্ধু মনে করেন। তিনি চান নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করতে।’
প্রধান দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠকে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষই তৃতীয় বৈঠকের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এই সংলাপ গঠনমূলক। এর বৈশিষ্ট্য: বিভিন্ন ইস্যুতে তারা সংলাপ করতে পারে; দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যকার উত্তেজনা কমিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে। কারণ, বৈঠক ছাড়া সমঝোতা সম্ভব নয়। জাতিসংঘের দায়িত্ব হলো- আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা এবং বৈঠক শুরু করে দিয়ে যাওয়া।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক বাতিল হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তরানকো বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। এখন প্রয়োজন দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।’
উল্লেখ্য, চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে গত শুক্রবার পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশ আসেন জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। পরদিন থেকেই রাজনৈতিক দল, কূটনীতিক, নির্বাচন কমিশন, দুই নেত্রীর উপদেষ্টা এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে দফা দফায় বৈঠক করেন তিনি। মঙ্গলবার তার সফরের শেষ দিন ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এদিন প্রধান দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠকের ব্যবস্থা করেন তারানকো। যথেষ্ট গোপনীয়তার সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর তখনই তিনি তার সফর এক দিন বাড়ানোর কথা জানান। সর্বশেষ বুধবার আবারো দুই মহাসচিবের বৈঠক হয়েছে। অবশ্য এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।
ছয় দিনের সফর শেষে বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন কথাই বললেন তিনি।
ব্রিফিংএ তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায়।’
তার এই সফরে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা,পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন উল্লেখ করে তারানকো বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ সঙ্কট নিরসনে দুই পক্ষ সংলাপে বসেছে। জাতিসংঘ আশা করে, তারা সঙ্কট সমাধানে সংলাপ চালিয়ে নেবেন। বাংলাদেশ নিজের সমস্যা নিজেদের মতো করেই সমাধান করুক।’
চলতি সঙ্কটে বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সঙ্কট বাংলাদেশের অর্জিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে।’
তিনি বলেন, ‘অব্যাহত সহিংসতায় নারী-শিশুসহ নিরপরাধ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, এতে জাতিসংঘ মহাসচিবও উদ্বিগ্ন। আমি সবাইকে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেছি।’
১৯৯৭ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসা সদ্যপ্রয়াত বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার উক্তি, ‘ঐক্যবদ্ধ জাতি যেকোনো কঠিন সমস্যার মোকাবেলা করতে পারে’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে তারানকো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, দুই দল ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে সমাধানের লক্ষ্যে গঠনমূলক সংলাপ চালিয়ে যাবে।’
এসময় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তারানকো বলেন, ‘এদেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘ সব সময় পাশে থাকবে।’
বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ তারানকো বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী।’
গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারানকো অনুরোধ করেন, নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক কাজ চালিয়ে যান।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ছাড়া সমঝোতা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক নেতাদের সহনশীলতা ও ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকে তাহলে সমঝোতা সম্ভব। আমি মনে করি, দুই দলেরই সমঝোতায় পৌঁছানো এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবে। রাজনৈতিক নেতাদের একসাথে বসা উচিৎ। দুই পক্ষই সংলাপ চালিয়ে যাবে বলে আমার আশা।’
সফর এবং বৈঠক সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিবকে অবহিত করবেন জানিয়ে তারানকো বলেন, ‘দুই পক্ষই এখন সংলাপের মধ্যে রয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশকে খুব ভালো বন্ধু মনে করেন। তিনি চান নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করতে।’
প্রধান দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠকে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষই তৃতীয় বৈঠকের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এই সংলাপ গঠনমূলক। এর বৈশিষ্ট্য: বিভিন্ন ইস্যুতে তারা সংলাপ করতে পারে; দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যকার উত্তেজনা কমিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে। কারণ, বৈঠক ছাড়া সমঝোতা সম্ভব নয়। জাতিসংঘের দায়িত্ব হলো- আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা এবং বৈঠক শুরু করে দিয়ে যাওয়া।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক বাতিল হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তরানকো বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। এখন প্রয়োজন দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।’
উল্লেখ্য, চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে গত শুক্রবার পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশ আসেন জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। পরদিন থেকেই রাজনৈতিক দল, কূটনীতিক, নির্বাচন কমিশন, দুই নেত্রীর উপদেষ্টা এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে দফা দফায় বৈঠক করেন তিনি। মঙ্গলবার তার সফরের শেষ দিন ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এদিন প্রধান দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠকের ব্যবস্থা করেন তারানকো। যথেষ্ট গোপনীয়তার সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর তখনই তিনি তার সফর এক দিন বাড়ানোর কথা জানান। সর্বশেষ বুধবার আবারো দুই মহাসচিবের বৈঠক হয়েছে। অবশ্য এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।
0 comments:
Post a Comment